সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জে ১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে ১৫৯৬ জন বিদেশ থেকে ফিরেছেন। এরা জনসমাগমে ঘুরে বেড়ালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখছে না। অথচ মাত্র ৬৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে পর্যাবেক্ষণে রয়েছেন। এরা বিভিন্ন দেশে কর্মরত ছিলেন।
বাকি প্রবাসিরা কোথায় এবং কিভাবে অবস্থান করছেন? কোয়ারেন্টাইনে না কি লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন? এদের সম্পর্কে সুনিদিষ্ট কোনো তথ্যই পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা হুমায়ন কবির। তিনি জানান, সদর উপজেলায় ছয়জন, কাজিপুর ১৩, বেলকুচি ১৪, উল্লাপাড়া ১৫, কামারখন্দ ৫, রায়গঞ্জ ৫ জন, শাহজাদপুর ১০ জন সহ মোট ৬৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কেউ নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
করোনা ঝুঁকি এড়াতে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার নয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৬৫টি আইসোলেশন বেড স্থাপন করা হয়েছে। সচেতনতার জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরণও করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ জানান, গত ১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে বিদেশ থেকে ১৫৯৬ জন প্রবাসি সিরাজগঞ্জে ফিরেছেন। বিদেশ ফেরত প্রবাসিরা জেলার মধ্যেই আছেন।
তিনি বলেন, ভয়ংকর আক্রান্ত দেশগুলো থেকে যারা সিরাজগঞ্জে এসেছেন; এমন ৬৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনেই রাখা হয়েছে। ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কোয়ারেন্টাইন সম্পর্কিত নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।