দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ কইতেও পারিনা–সইতেও পারিনা। কয়েক দিনের মধ্যে নোভেল করোনা ভাইরাসের কারণে চিরচেনা দিনাজপুর শহরটাকে একেবারেই অচেনা মনে হয়। একই চিত্র ১৩ উপজেলার ইউনিয়ন গুলোর সবখানে।
শহরের যে সড়ক পারা-পারের জন্য ট্রাফিক প্রয়োজন ছিল আজ তা একেবারেই ফাকা। থেমে গেছে কোলাহল, বন্ধ হয়ে গেছে কর্মমুখী মানুষের কর্ম। এতে চরম সমস্যায় পরছেন নিন্মমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা।
দিন যত যাচ্ছে নিন্মমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ব্যক্তিদের ঘরে খাবারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের তত সংঙ্কট দেখা দিয়েছে।
কর্মহীন মানুষের জন্য ইতোমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে সহযোগিতা আসলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারেই অপ্রতুল। তার পরেও সরকারি ও বেসরকারি ভাবে যতটুকো সহযোগিতা করা হচ্ছে সেই তালিকায় নেই নিন্মমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের নাম।
এদিকে হতদরিদ্ররা জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি বেসরকারি বা বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে সহযোগিতা প্রাপ্তির তালিকায় নাম ওঠাতে পারলেও লোক লজ্জায় মুখ খুলতে পারছেন না নিন্মমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা।
জেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকের সাথে কথা বলে জানা গেছে যেকোন দূর্যোগের সময় নিন্মমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরাই বেশী কষ্টে থাকেন। সরকার বা কোন সংগঠন তাদেরকে সহযোগিতা করতে এঁগিয়ে আসেনা। নিরবে নিভৃতে কাঁদে তারা। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সংঙ্কটেও নিন্মমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা অর্ধাহারে-অনাহারে দিনযাপন করলেও কেউ রাখছেন না তাদের খবর।
এব্যাপারে ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, বর্তমান সময় নিন্মমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা চরম বিপাকে। না-পারে কইতে না-পারে সইতে। বর্তমান করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য দেশের সকল মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও সবচাইতে বেশী সমস্যায় আছে নিন্মমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা।
অপর দিগে ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবে সাবেক সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বর্তমান সমস্যায় উচ্চমধ্যবিত্তদের সরকারি বা বেসরকারি কোন সহযোগিতা প্রয়োজন হয়না। আর হতদরিদ্ররা সরকারি ও বেসরকারি ভাবে সহযোগিতা কিছুটা হলেও পায়। অথচ মোট জনসংখ্যার মধ্যে নিন্মমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তর সংখ্যা অর্ধেকের বেশী হলেও তাদের খবর কেই রাখে না। দেশের যেকোন দূর্যোগে বা যেকোন সমস্যায় সাংবাদিক সমাজ মানুষের পাশে থাকলেও সাংবাদিকদের দূর্দিনে উল্লেখ যোগ্য ভাবে কেউ পাশে দাঁড়ায়না এবং পায়না কোন প্রকার অনুদান।