শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুরে এক ইউপি সদস্যের উপর চেয়ারম্যান কর্তৃক পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ২৬ এপ্রিল রবিবার দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার ১৩ নং রৌহা ইউনিয়নের বেলতলি বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম মিজু ও ইউপি সদস্য মোঃ মইফুল ইসলামের সাথে সরকারি ভিজিএফের চাউল নিয়ে কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানের একটি গ্রুপ কর্তৃক ইউপি সদস্যের উপর হামলা করে গুরুত্বর জখম করেন।
এব্যাপারে ২৭ এপ্রিল ১৩ নং রৌহা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মইফুল ইসলামের স্ত্রী বাদী হয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম মিজুকে প্রদান আাসামী করে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন, রৌহা গড়পাড়া গ্রামের মোঃ ইব্রাহীম ইবার ছেলে মোঃ আজিত (৩২) ফরিদ মিয়ার ছেলে মোঃ খোকন মিয়া (৩৫) ইব্রাহীম ইবার ছেলে মোঃ আক্কাস আলী, ও একই গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩২) সহ অঙ্গাত আরো ৩/৪।
মামলার এজহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩ নং রৌহা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম মিজুর কাছে সরকারি ভিজিএফের চাউলের কার্ড আসিলে সে ৪,৫,৬,৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের লোকদের চাউলের কার্ড না দিয়ে আত্মসাৎ করার পায়তারায় লিপ্ত হয়।
এমতাবস্থায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার মইফুল ইসলাম বিষয়টি টের পেয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে আত্মসাৎের কারন বিস্তারিত জানতে চাইলে চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম মিজু ঘটনা ধামাচাপা দিতে চায়। একপর্যায় তর্ক বিতর্ক শুরু হলে চেয়ারম্যান মিজুর নিজস্ব লোকদেরকে ইউপি সদস্য মইফুলকে মেরে ফেলার হুকুম দেয়।
পরে উপরোক্ত আসামীগন খিপ্ত হয়ে লাঠিসোটা, লোহার রড, রাম’দা দিয়ে তাকে অতর্কিত হামলা করে তার শরীর গুরুতর জখম ও মাথায় আঘাত করেন।পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে সে মাটিতে পরে যায় এবং তার সাথে থাকা গরু ক্রয়ের জন্য ৭৫ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
পরে স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা ধীন রয়েছে। এদিকে তার পরিবার সুষ্ট বিচার ও আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এবং আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রেখেছে শেরপুর সদর থানা পুলিশ।