নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সরদারপাড়া এলাকায় রিমন সাউদ (২৬) নামে একমাত্র ছেলে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার খবর শুনার এক ঘণ্টার পর বাবারও হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। হৃদরোগে মারা ব্যক্তি ইয়ার হোসেন (৬০) বন্দর উপজেলার ললাটি এলাকার এমআরবি নামের ইটভাঁটির মালিক ছিলেন।
মৃত ব্যক্তির পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, রিমন সাউদ করোনার উপসর্গ নিয়ে ভোর ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে বাবা ইয়ার হোসেন সকাল ৭টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।।
মৃত ইয়ার হোসেনের জামাতা মোঃ রানা ভূঁইয়া বলেন, তার শ্যালক রিমন সাউদ বেশ কয়েকদিন ধরে অস্স্থু ছিলেন। সোমবার খুবই অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতালসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসাপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু করোনার উপসর্গ জ্বর, ঠান্ডা, কাশি থাকার কারণে কোন হাসপাতালে তাকে ভর্তি নেয়নি।
অবশেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোর ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একমাত্র ছেলে মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হন আমার শ্বশুর ইয়ার হোসেন। তাকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃতু ঘোষণা করেন। তিনি আরো বলেন, গত ৯ এপ্রিল তার করোনাভাইরাসের নমুনা দেয়া হয়েছিল।
সোমবার তার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। আমার শ্যালকের নিউমোনিয়া হয়েছে। সে করোনায় আক্রান্ত ছিল না। অথচ বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়েও তাকে ভর্তি করানো যায়নি। বিনা চিকিৎসায় আমার শ্যালকের মৃত্যু হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ কামরুল ফারুক বলেন, ছেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। ছেলে মারা যাওয়ার খবর শুনে বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে ছেলে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না।