আতাউর রহমান, ঈশ্বরগঞ্জ ময়মনসিংহঃ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সরকারি খাদ্য গুদামে প্রায় ৪টন চাল জব্দ ও গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. জাকির হোসেন ওই চাল জব্দ ও গুদাম সিলগালা করেন।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার সকালে ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও নেত্রকোণা জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুরাইয়া বেগম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার আঠারবাড়ি খাদ্য গুদামে অবৈধ ভাবে প্রায় চার টন চাল মজুদ করা হয়। ১০টাকা কেজি দরে পার্শ্ববর্তী নান্দাইল উপজেলায় বিতরণের চাল সিন্ডিকেট চক্র ক্রয় করে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফ আলীর সহযোগীতায় গুদামে এসব চাল প্রবেশ করানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন খাদ্য গুদামে অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় ৭৯ বস্তায় ৩৯৫০ কেজি চাল পাওয়া যায়। চাল গুলো স্থানীয় ব্যবসায়ী মিলন মিয়া গুদামে রাখতে চাপ দেয় বলে জানায় ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা। এসব চাল অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ আওতায় সংগ্রহ দেখিয়ে বিল করা হতো তালিকাভুক্ত মিলার ফরিদা রাইস মিলের নামে।
কিন্তু অবৈধ ভাবে চাল গুদামে রাখায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন ৭৯ বস্তা চাল জব্দ করেন। একই সাথে গুদামটি সিলগালা করা হয়। ওই সময় মিলারকে কালোতালিকা ভুক্ত, জড়িত সকলের বিরুদ্ধে মামলা, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে খাদ্য বিভাগের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের চিঠি প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়।
আঠারবাড়ী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত আশরাফ আলী বলেন, স্থানীয় ও সিন্ডিকেট চক্রের চাপে চাল গুলো রাখতে তিনি বাধ্য হন। চাল গুলো ফরিদা রাইস মিলের নামে বিল হওয়ার কথা ছিলো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, গুদামে অবৈধ ভাবে চাল মজুদ করা হয়েছে এমন খবরে আঠারবাড়ী খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়ে ৭৯বস্তা চাল জব্দ করে গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মিলারকে কালোতালিকা ভুক্ত করা হয়েছে ও জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।