মোঃ কামাল, ময়মনসিংহঃ “স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরি করোনার বিস্তার রোধ করি” এই শ্লোগানে সারাদেশের মতো ময়মনসিংহেও জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে সরকারি-বেসরকারী, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন দিন ভর তাদেও স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের সামনে কিংবা বিভিন্ন পাড়া/মহল্লায় এই কর্মসূচী ব্যাপকভাবে পালন করে।
তারই অংশ হিসেবে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে প্রায় দেড় যুগেরও অধিক সময় ধরে স্বাস্থ্য সেবায় ব্যাপক ভূমিকা রাখছে প্রান্ত স্পেশালাইজড হসপিটালটি । এই হসপিটালের সুযোগ্য কর্ণধার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মনসুর আলম চন্দন সততা এবং বিশ্বস্ততার প্রতিক এবং বিরল দৃষ্টান্তের ইতিহাস।
প্রান্ত ডায়াগোনস্টিক সেন্টার বর্তমানে প্রান্ত স্পেশালাইজড হসপিটাল। এই প্রতিষ্ঠানটির পিছনে যার ঘ্রাম-শ্রম মেধা, মননশীল চিন্তা-চেতনা তাকে এই নগরীর অনেকেই চিনেন তিনি কতোটুকু ভালো মনের মানুষ যারা তার সাথে মিশেছেন তারাই জানেন।
গত ২৮ জুলাই সোমবার সকাল থেকে দিনব্যাপী।
জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মনসুর আলম চন্দন অসুস্থ্য থাকার কারণে অনুপস্থিত থেকেও তার নির্দেশনায় ডাক্তার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাধারন মানুষদের মাঝে বিতরণ করেন মাস্ক। ব্যবহার করতে হয় কিভাবে তাও শিখিয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত সামাজিক দূরুত্ব মেনে তাদের স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম চলছে প্রতিদিনই। হাসপাতালটির প্রবেশপথে ডিজিটাল থার্মা মিটার দিয়ে শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা, জীবানুনাশক স্প্রে দিয়ে পুরো শরীর স্প্রে করা এবং সাবান দিয়ে হাত ধৌত করে হাসপাতালে প্রবেশ করতে হয়। এই সকল কিছুর দিক-নির্দেশক পরিচালক মনসুর আলম চন্দন।
তার দক্ষ তদারকির কারণে ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে দাড়িয়েছে প্রান্ত স্পেশালাইজড হসপিটাল। যার সুনাম গোটা বিভাগ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু কি তাই ? এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের সার্বিক সহযোগিতায় এবং মানবিকতার ফলশ্রুতিতে নিরবে অসহায় দুঃস্থ রোগীরা পাচ্ছেন বিশেষ ছাড় ! সকলের সু-পরিচিত এই মানুষটির কাছ থেকে যে কোন ব্যক্তি সহযোগিতার জন্য দারস্থ হলে তিনি তার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করে তাকে সহযোগিতা করার।
যার কারণে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে দেশব্যাপী। করোনা সংক্রমন সময়ে সারাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা মন্দার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান মালিক তাদের অধিনস্থ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঠিক মতো বেতনভাতা না দিতে পারলেও এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মনসুর আলম চন্দন তার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্টাফদের নির্ধারিত বেতনভাতা দিয়ে গেছেন। যার ফলে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্টাফরা সন্তোষ্ট প্রকাশ করেছে।
সম্প্রতি সময়ে দুনিয়া কাপানো করোনা ভাইরাসে যখন অনেকে তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে অনেক নাগরিকও হয়ে পড়েছে কর্মহীন যার ফলশ্রুতিতে অসহায় হয়ে গেছে মানুষ দু-বেলা দু-মুটো ভাত খেতে হিমশিম খেতে হয়েছে অনেকেরই। আর সেই সকল কর্মহীন অসহায় মানুষদের পাশে ছিল সমাজের অনেক বৃত্তবানরা। তারা তাদের সাধ্যমত বিভিন্ন প্রকারের সাহায্য-সহযোগিতা চালিয়ে গেছেন। সেই বৃত্তবানদের একজন হলো প্রান্ত স্পেশালাইজড হসপিটালের কর্ণধার মনসুর আলম চন্দন।
তিনি ময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় নিরবে ডাকঢোল পিটানোবিহীনভাবে অসহায় মানুষদের পাশে দাড়িয়েছে সহযোগিতহার দু-হাত বাড়িয়ে।
প্রান্ত স্পেশালাইজড হসপিটালের প্রত্যেকটি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্টাফরা তাদের পরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা দিয়ে রোগীদের রোগ থেকে সারিয়ে তুলেছেন যার সন্তোষ্ট প্রকাশ করেছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।