জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর থেকেঃ দিনাজপুরে জরাজীর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নিয়ে তেলেশমাতি কারবার শুরু হয়েছে। বিপাকে পড়েছে নিলাম গ্রহীতা।
জানা যায়, দিনাজপুর সদর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা-এর মাধ্যমে গত ২৬ আগস্ট দিঘন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিলামকৃত জরাজীর্ণ ভবনটি নেয়ামুতুল¬া প্রকাশ্যে নিলামে সর্বোচ্চ দর দাতা হিসাবে প্রাপ্ত হন। তৎপর নেয়ামুতুল¬া জরাজীর্ণ স্কুল ভবনটি অপসারণের জন্য ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফ আলী তালুকদার ডাবলুকে নোটারী পাবলিক এফিডেভিটের মাধ্যমে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
এ দায়িত্ব পাওয়ার পর আরিফ আলী তালুকদার ডাবলু পরিত্যাক্ত স্কুল ভবনের কাছে গেলে দেখতে পান, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম এর নির্দেশে তার লোকজন স্কুলের পরিত্যাক্ত ভবনটির টিন, দরজা, জানালাসহ নানা মালামাল তার নিজস্ব ট্রাক্টরের মাধ্যমে নিয়ে যাচ্ছে। আরিফ আলী তালুকদার ডাবলু এ বিষয়ে কোতয়ালী থানা ও সদর উপজেলা নির্বাহী বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আমাদের প্রতিনিধি এ ব্যাপারে ৪নং শেখপুরা ইউপি চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলামকে মুঠোফোনে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোনে কোন তথ্য দিবেন না বলে এড়িয়ে যান। পরক্ষণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি বলেন নিলাম ডাক যিনি পেয়েছেন তিনি আমাদের কাছে কোন অভিযোগ করেননি।
অভিযোগ করেছেন, আরিফ আলী তালুকদার ডাবলু। তবে অভিযোগ যদি সত্য হয় তাহলে মালামালগুলি তাকে ফেরত দিতে হবে। নিলাম ডাকের ক্রেতা নেয়ামুতুল্লা মুঠোফোনে জানায়, আমি স্কুলের পরিত্যাক্ত মালামালগুলি অপসারণের জন্য আরিফ আলী তালুকদার ডাবলুকে লিখিতভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছি।
আরও বলেন, মোমিনুল চেয়ারম্যান গায়ের জোরে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে আমার নিকট থেকে পরিত্যাক্ত স্কুল ভবনটি চেয়েছিল। কিন্তু তার অশোভনীয় আচরণের কারণে আমি তাকে দেইনি। এহেন অবস্থার প্রেক্ষাপটে বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সুশিল সমাজ।