স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের ত্রিশালে তুচ্ছ কারণে এক যুবকের উপর অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে সদর ইউনিয়নের কোনাবাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম এর ছেলে দিনমজুর ফরহাদ হোসেন এ নির্যাতনের শিকার হন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী নওধার গ্রামের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মোড়ের ব্যবসায়ী আব্দুল বারেকের ছেলে রাফিকুল ইসলাম রফির পুকুরে গরু গোসল কারানোকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে, সন্ধ্যায় তার গুন্ডাবাহীনি পাঠিয়ে ফরহাদ হোসেনকে ধরে নিয়ে শত শত মানুষের সামনে হাত পা বেঁধে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফেলে অমানুষিক ভাবে পিটিয়ে আহত করে। এসময় ফরহাদের বাবা মা রফির হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাঁটি করার পরেও তাকে না ছেড়ে উপরন্তু তাদেরকেও নানাভাবে শাসিয়ে বিদায় করে দেয় রফি।
নির্যাতনের এক পর্যায়ে ফরহাদের নাক মুখ দিয়ে রক্ত এলে মূমূর্ষ অবস্থায় তাকে ফেলে রাখে। তবে এতেও ক্লান্ত হয়নি রফি, সে নিজ দোকানের কাচ ভেঙে ফরহাদকে ত্রিশাল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এই ঘটনায় বিক্ষোব্ধ এলাকাবাসীর দুই থেকে তিন শতাধিক মানুষ একত্রিত হয়ে উক্ত এলাকার ওয়ার্ড মেম্বার, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং উপজেলা চেয়ারম্যান এর নিকট বিচারপ্রার্থী হলে তারা বিচারের আশ্বাস দেয়। উভয় এলাকায় এ নিয়ে নারী পুরুষ সকলের মধ্যেই তীব্র ক্ষোভ এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে। এসময় তারা নানা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের হোতা রফিকুল ইসলাম রফি’র ক্রমবর্ধমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে মুক্তি পেতে এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং শাস্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে রাফিকুল ইসলাম রফি বলেন- নিষেধ করার পরেও আমার পুকুরে ফরহাদ গরু গোসল করিয়েছে, তাই তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তর্ক করায় দুই একটা চড় থাপ্পর দিয়েছি।
ত্রিশাল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ জ ম মাসুদ আল আমীন বলেন, ঘটনাটি আমি রাতে জানতে পেরেছি, এসময় রাতে কয়েকশত লোক আমার কাছে এসেছিল। আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে পরামর্শ করে বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জকে অনুরোধ করি। বিষয়টি এখন স্থানীয় ভাবে শালিশ দরবারের মাধ্যমে মিমাংসা করার প্রক্রিয়াধীন আছে।