বুলবুল আহম্মেদ, শেরপুরঃ ছুটছেন বাড়ি বাড়ি দিচ্ছেন চিকিৎসা সেবা প্রয়োজনীয় ঔষুধ সামগ্রী সেইসাথে গর্ভবতী মা ও শিশুদের উৎসাহ জাগানোর জন্য বেতনের টাকায় দিচ্ছেন শুকনো খাবার ও পোশাক সামগ্রী। অফিস সময় কাটিয়ে অবসর ও ছুটির দিনেও থেমে নেই চিকিৎসা সেবার কাজ প্রতিনিয়তো ছুটে বেড়াচ্ছেন প্রতি ইউনিয়নে ইউনিয়নে।
এমন সেবা পেয়ে বড়ই খুশি উপজেলার প্রতি ইউনিয়নের সাধারন মানুষ। তাই সে সকল গ্রামের মানুষদের মুখে এখন গরীবের ডাক্তার হিসেবে উপাধি পেয়েছেন শেরপুর সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও শেরপুর মা শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. শারমিন রহমান অমি।
(কোভিট ১৯) সংক্রমন প্রতিরোধ কল্পে এবং অঘোষিত লকডাউনে পুরো দেশ যখন স্থবিরের মুখমুখী সে সময়কালে কর্মহীন হয়েছিলেন দেশের অসংখ্য শ্রমজীবি মানুষ। অর্থনীতি অবস্থাও ছিলো অনেকটা স্বল্প। নেই কোন কর্ম টাকা আসবে কোথা থেকে খাবে কি ঘরে গর্ভবতী স্ত্রী চিকিৎসা চলবে কেমনে সবমিলিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন শেরপুর সদর উপজেলার সাধারন মানুষ।
ঠিক এমন সময়ে শেরপুরের ইতিহাস স্বরূপ সাধারন গরীব অসহায় গর্ভবতী মা ও শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং চিকিৎসা প্রয়োজনীয় ঔষুধ খাবার সামগ্রী এমনকি নগদ অর্থ দিয়ে মনে সাহস যোগিয়ে ছিলেন ডা. শারমিন রহমান অমি। তাই সাধারন মানুষের মুখে একটাই জপনা গরীবের ডা. আমাদের অমি।
এছাড়াও দেশব্যাপী যখন বণ্যা আরেকদিকে করোনা এমন দুর্যোগকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কখনো নৌকা আবার কখনো পায়ে হেঁটেই বণ্যা কবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দিয়েছেন ত্রাণ সহায়তা এবং মা ও শিশুদের জন্য পূণরায় ঔষুধ সামগ্রী। গ্রামেগন্জে ডা. অমির অল্প সময়ে এমন পরিচিতি ও সুনাম অর্জণ অতীতকালে লক্ষ করা যায়নি। শেরপুরবাসীর জন্য স্মৃতিময় হয়ে থাকবে ডা. শারমিন রহমান অমির নাম।
গেল মাস আগষ্টে মুজিব বর্ষ ও মুজিব জন্মশত বার্ষিকীতে ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ হিসেবে নানাবিধ কাজ করেছেন ডা. অমি। যা প্রশংসা কুড়ানোর মতো। সদর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে বৃক্ষরোপণ করোনায় ঘরবন্দী শিশুদের আনন্দ দিতে পৌর শিশু পার্কে দিনব্যাপী নানা খেলাধুলার আয়োজন ও চিকিৎসা সেবা প্রদান এমনকি নিজ হাতে রান্না করে খাবার ব্যবস্থা করা এমন সৎ ও মহতি উদ্যোগ কি সবার হয়?
করোনায় জনজীবন যখন বিপযস্ত তখন থেকে মাঠ পর্যায় কাজ করে যাচ্ছেন এই গরীবের ভালোবাসায় সিক্ত ডা. শারমিন রহমান অমি। তাই শেরপুরের প্রশাসন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সামাজিক সংগঠন, ধর্মীয় ব্যক্তিরা তার এমন মহতি কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষেয় ডা. অমি জানান, নিজের মনোবলকে শক্ত করে সততার সহিত অসহায় মা ও শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের চিকিৎসা সেবা প্রয়োজনীয় ঔষুধ সামগ্রী ও ব্যক্তিগত অর্থায়নে খাদ্যসহায়তা প্রদান করেছি। এবং করোনা নামক ভাইরাস যতদিন থাকবে আমার সেবা প্রদান অব্যাহত রাখবো। সাধারন মানুষের কল্যাণে কাজ করে অনেক আনন্দ পেয়েছি তাই ঘরে থাকতে আর ভালো লাগেনা বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে চাই যতদিন বেঁচে থাকবো মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো।